পাট শাকে প্রচুর পরিমাণ খনিজ লবণ যেমন পটাশিয়াম,আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, ই, কে, বি- ৬ এবং নিয়াসিন রয়েছে। পাট শাকে আরো আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন,এবং খাদ্য আঁশ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্বাস্থ্য উপকারিতা: রক্তচাপ-আধুনিক জীবনে রক্তচাপ একটি চরম সঙ্কটপূর্ণ সমস্যা। এক্ষেত্রে পাট শাক লক্ষণীয়ভাবে রক্তচাপ কমিয়ে ভার সাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সহায়তা করে। পাটশাকে বিদ্যমান পটাশিয়াম মানব দেহের শিরা উপশিরার বিস্তৃতি বাড়িয়ে (dilate) রক্তসঞ্চালন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। শক্তি সঞ্চালন- পাটশাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে যা রক্তে হেমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ হেমোগ্লোবিন থাকায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তি: পাটশাকে বিদ্যমান পুষ্টি আঁশ খাবার হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং পুষ্টি অঙ্গীভূত করতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য- রক্তের কোলেস্ট্রোল ভোজ্য আঁশের সাথে যুগলবন্দি হয়ে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোকের ঝুঁকি কমে যায়। ঘুমের অভ্যাস: পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন করে যা স্নায়ুতন্ত্র শান্ত রাখে এবং নিরবচ্ছিন্ন নিদ্রা নিশ্চিত করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: পাট শাকের ভিটামিন এ, ই এবং সি শরীরের রোগ পতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি রক্তের শ্বেত কনিকা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই চোখ, হৃদপিন্ডসহ অন্যান্য অঙ্গের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে